দীপিকা, বাজপাখি ও হেমলক পাহাড়
পাহাড়ের
দীর্ঘ প্রান্তরে
প্রতিদিনের মতো
দীপিকা হাঁটতে যায়।
বসন্তের সকালে
ওই প্রান্তরের মাঠে
কালো জল
জলের রঙ কালো
হয়েছে
পাতার শিরাগুলির নির্যাসে।
পাহাড়ের
কোর্টইয়ার্ডে সিঙ্কোলা
মেহগনি, রোজউড।
আর হেমলক পাহাড়।
বাজপাখিটা উঠে দাঁড়ালে
তার চোখদুটোকে দীপিকা লক্ষ্য করে
তার চোখে যত ঘৃণা
তা দীপিকার উপরে।
মেহগনিতে
বাজপাখির বাসা বাঁধা ছিল
এক গোলাকার মান্দাসে
বাসা দুলতো বাতাসে।
তার ওই বাসায় সাদা
তিনটে ডিম ছিল
কালো জলের উপরে।
বাজপাখি উড়ে চলে যায়
অদৃশ্য বাতাসের উপরে
উঠেতে থাকে।
তার মেয়েলি ডানায়
পুরুষালি ভরসা ফিরে আসে
তারই
উত্তেজনায় দায়ী করে নিজেকে।
রাগে দীপিকাকে গ্রাহ্য করে না
তার মেয়েলি ঈর্ষায়
বাজপাখি বুঝতে পারে
হেমলক পাহাড়ের দুর্বলতা
দীপিকাকে নিয়ে।
কোর্টইয়ার্ডের অর্ধেক পথে
দীপিকার হাঁটার রাস্তায়
গোড়ালি অব্দি জলে পা
ভিজে যায়।
দীপিকা উপরের দিকে তাকায়
বাজপাখির চোখ এড়িয়ে
আরও উপরের দিকে
তাকানোয় নিজেকে আটকাতে
পারে না।
বেশ কিছু সময় কেটে যায়
দীপিকা বাজপাখিকে দেখতে পায়নি
হেমলক পাহাড়ের উপরে নীল
আকাশে
বাজপাখি ভাসতে থাকে
দীপিকার চোখের আড়ালে।
দীপিকার এমন কিছুদিন আসে
যখন
মাঠের জল
সরু ঘাস আর
বাজপাখি
দীপিকার উপর স্পট ছাপ রেখে যায়।
তা অর্থপূর্ণ হোক বা না হোক
ব্যাকরণের সুন্দর দীর্ঘ
মেরুদণ্ডের উপর দাঁড়িয়ে
ছন্দবদ্ধ হোক বা না হোক।
দীপিকার সকালে একে একে
এসেছিল ব্যাকরণের রীতি না মেনে
মাঠেতে জল
ভিজে পা আর
বাজপাখির মেয়েলি ঈর্ষা
দীপিকা ও হেমলক পাহাড়
নিজের মতো থাকে যে
যার মতো
কোর্টইয়ার্ড ব্যাকরণের রীতি মেনে
ওদের মাঝে একা থাকে
বাজপাখিকে ছেড়ে দিয়ে।
23/3/2025
Amitava Mukherjee
Copyright @ Amitava Mukherjee
No Comment! Be the first one.