
বেনুদি সোনালী আলোয় দাঁড়িয়ে

পশ্চিমের মেঘ কালো হয়
বৃষ্টি নামে
বাজ পড়ে
উড়ে যায় মেঘ
সব দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে যায়
বেনুদিকে—
বজ্রপাতে ঝড়ো হাওয়ায়
সজোরে দরজা বন্ধ হয়
বাগানের গাছগুলো
মন্ত্র পড়ে আপন মনে আলোর ঝলকানিতে
মাড়িতে দাঁত নড়ে
উঠে
একটা একটা করে ফুল মাটিতে
পড়তে থাকে
বেনুদি পা পিছলে পড়ে যায় উঠানে—
রোদ্দুরে ঘাসের জল শুকিয়ে
যায়
বেনুদি ধীরে ধীরে
মানানসই হয়ে যায়
আশেপাশের জিনিষগুলোও
বেনুদিকে নিজের করে নেয়—
শাখাগুলো গাছকে যখন
ছেড়ে যায়
তাদের চিৎকারে
গাছের কঠিন মনে কিছু
যায় আসে না
সমস্ত মাটি জুড়ে—
এতটাই কঠিন মন তাদের
বেনুদি মনে করে
এই সহজ গ্রীষ্মে ওদেরকে
ছেড়ে যেতে হয়
পৃথিবীকে—
বেনুদি তার নিজের জানা
অন্ধকার থেকে
এই পৃথিবীর ঈশ্বরের দেওয়া
অন্ধকারে ঠেকে গেছে
বেনুদি খুঁজেতে থাকে
বাতাসের ঘূর্ণি হাওয়া
বেনুদির পায়ে ঠেকা লাগে
মেঘের গোড়ালিতে
বৃষ্টির ছিটে গায়ে লাগে—
এ যাত্রায় ঈশ্বরের দেওয়া
অন্ধকারে
মৃত্যুর সামনে হতে হবে না
বেনুদিকে—
বেনুদির কোনো রাগ নেই
ঈশ্বরের উপর
সে দেবতার মতো মাটিতে
গড়িয়ে যায় বৃষ্টিতে
জলের তিরস্কারে—
বেনুদি সেখানে থেকে যায়
শেষ দেখার জন্য
ভাঙা কিন্তু গাছের সোনালী
আলোয় দাঁড়িয়ে—
6/3/2025
Amitava Mukherjee
Copyright@ Amitava Mukherjee
প্রতিটি কবিতাই অসাধারণ এবং কথাগুলো যেন আরো জীবন্ত হয়ে ওঠে।
Thanks very much!